ঢাকামঙ্গলবার , ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে উচ্চ আদালতে রিট

Admin
অক্টোবর ২৯, ২০২৪ ১২:৫০ পূর্বাহ্ণ । ১২ জন
Link Copied!
একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তাদের কিছু মিত্র দলকে রাজনীতির বাইরে রাখতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা। এ ছাড়া ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণার আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা।

এ বিষয়ে হাইকোর্টে গতকাল ২৮ অক্টোবর পৃথক রিট আবেদন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম, আবুল হাসনাত (হাসনাত আবদুল্লাহ) ও হাসিবুল ইসলাম।

একটি রিটে আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানানো হয় রিটে। নির্বিচার মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে দলগুলোর বিরুদ্ধে।

অপর রিটে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসব নির্বাচনের গেজেট কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সন্ধ্যায় বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে আর কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকার শুধু ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। আর কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকার এ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

উল্লেখ্য, ছাত্রনেতাদের দাবির মুখে ২৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার এক নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তাদের নিষিদ্ধের আদেশে স্বাধীনতার পর, বিশেষ করে গত ১৫ বছরে হত্যাসহ নানা অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ২২ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার গণজমায়েত কর্মসূচিতে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে। এর মধ্যে একটি ছিল ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা। আরেকটি দাবি হলো ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করা এবং ওই