কোরবান আলী সাগর : ভোরের আলো সাহিত্য পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লার বৃহত্তর লাকসাম উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের কাঁশই গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে ১৯৭২ সালের ১৫ জানুয়ারী জন্ম গ্রহণ করেন।তার বাবা মরহুম দীন মোহাম্মদ তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে জুনিয়র অফিসার ছিলেন। সেই সুবাদে অবসর কালিন সময়ে এলাকার মানুষের সেবায় ডাক্তারী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ৭ ভাইবোন এর মধ্যে ৪র্থ সন্তান অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর আলম। তিনি ১৯৮৮ সালে আলী নকিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। তারপর কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, লক্ষীপুর থেকে এইচ.এস.সি ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হতে সমাজবিজ্ঞান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে মাস্টার্স পাশ করেন। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি অত্যন্ত ভদ্র বিনয়ী, সৎ ও সদালাপী মানুষ, সৎ ভাবে চলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর আলম ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে আছেন। সেই সময় থেকে তার এলাকায় হার না মানা, সাহসী এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। স্কুল কমিটি ছাত্রদলের সভাপতি, ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি, লাকসাম উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক, ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ সভাপতি, কবি নজরুল ইসলাম হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি পদে তিনটি কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সূত্রে নিজের এলাকা সহ আশেপাশের এলাকাতেও বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িত আছেন।জনাব জাহাঙ্গীর আলম ১৯৯৯ সালে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন এবং বর্তমানে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে একটি মাদ্রাসায় কর্মরত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি এক জন সফল ব্যবসায়ী ও কন্টেক্টার হিসেবে কন্সট্রাকশান কাজ, ফার্টিলাইজার এজেন্ট ব্যবসায় জড়িত আছেন । বিপদে পড়লে মানুষ একা ও অসহায় হয়ে যায়, এই অনুভব আসে ওনার করোনা আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যমে, সেই অসহায়ত্ব থেকে নিজেকে মানুষের মাঝে স্মরণীয় করে রাখার প্রত্যয়ে, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ফেইসবুক ভিত্তিক অনলাইন গ্রুপ “ভোরের আলো সাহিত্য পরিষদ” । মানুষকে মমতার বন্ধনে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে সভ্যতা সংস্কৃতি এবং সাহিত্য চর্চার প্রত্যয় নিয়ে সৃষ্ট এই গ্রুপে বর্তমানে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার সদস্যের বিশাল এক পরিবার। প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর জাঁকঝমক ভাবে পালিত হয় ভোরের আলো সাহিত্য পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, কবি ও গুনিজন দের সম্মাননা ছাড়াও বিভিন্ন ইভেন্ট ও সেরা এক্টিভিটি বিবেচনায় পুরস্কৃত করা অসংখ্য মানুষকে। এছাড়াও ১৫ জানুয়ারী ওনার জন্মদিনে, কবিতা উৎসব, পিকনিক এবং ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন কবি, সাহিত্যিক, গ্রুপের সদস্যসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আমিও ভোরের আলোর সাহিত্য পরিষদের একজন গর্বিত মডারেটর হিসেবে গ্রুপের এসকল কর্মকাণ্ড উপভোগ করছি । গ্রুপের সকল সদস্যদের কর্মতৎপরতায় আমি অভিভূত, যারা পারস্পরিক হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ। ভোরের আলো সাহিত্য পরিষদ আজ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে ‘রক্তের সম্পর্কের চাইতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক কোন অংশে কম নয়’। এরই ধারাবাহিকতায় “ভোরের আলো সাহিত্য পরিষদ” প্রাকৃতিক জলোচ্ছ্বাস আর বন্যায় কবলিত অসহায় মানুষের সহযোগিতায় শুভেচ্ছা সামগ্রী বিতরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে । আর এটা সম্ভব হয়েছে সুদক্ষ পরিচালনা পর্ষদ এর পরামর্শ এবং আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে। গ্রুপের প্রতি পরিচালনা পর্ষদ এর অক্লান্ত পরিশ্রমে সহযোগী বন্ধুদের সৎ পরামর্শে আমরা আজ সফলতার শীর্ষে ইনশাআল্লাহ ।
এছাড়াও জাহাঙ্গীর ভাইয়ের ব্যক্তি জীবনে একজন সাহসী, পরোপকারী, উদ্যমী, এবং পজেটিভ মানসিকতার ব্যক্তি হওয়ায় তার দৃঢ় প্রচেষ্টায় আজ দেশ বিদেশে ভোরের আলো অনেক সমাদৃত হয়েছে। পারিবারিক জীবনে স্ত্রী ও তিন ছেলে সন্তান নিয়ে তার সুখী পরিবার। তার স্ত্রী কাঞ্চি চৌধুরী সাহিত্যমনা মানুষ, তিনি “ভোরের আলো সাহিত্য পরিষদ” এর উপদেষ্টা হিসেবে কর্মদক্ষতায় ইতিমধ্যে তিনি গ্রুপের সকল সদস্যদের শ্রদ্ধাভাজন ও প্রিয় মানুষ হয়ে আছেন।
জনাব মো: জাহাঙ্গীর আলম এর রাজনৈতিক জীবনের শুরু ছাত্র অবস্থায় ১৯৮৬ সালে স্কুল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৭ সালে স্কুল শাখা সভাপতি এবং হাসনাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, পরে ইউনিয়ন কমিটির ২বার সভাপতি এবং লাকসাম উপজেলা কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। ১৯৯০ সালে কফিলউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ শাখা সহ-সভাপতি ছিলেন, ১৯৯৩ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কবি নজরুল ইসলাম হল শাখা নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কমিটিতে সহ সভাপতি হন। ১৯৯৫ কুমিল্লা দক্ষিন জেলা ছাত্রদলে সহ সভাপতি হোন।(জসিম-জামাল কমিটি) ১৯৯৭ কুমিল্লা দক্ষিন জেলা ছাত্রদলে সহ সভাপতি হোন। (রেজাউল-স্বপন কমিটি) ১৯৯৮ কুমিল্লা দক্ষিন জেলা ছাত্রদলে সহ সভাপতি হোন তিনি।
(ওয়াসিম-নজরুল কমিটি)
এ সময় কুমিল্লা-৯ তথা বর্তমান লালমাই ও সদর দক্ষিন উপজেলা ছাত্রদলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন হাজি আমিনুর রশিদ ইয়াছিন এর পক্ষে । ২০০১ লাকসাম উপজেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটিতে সদস্য এবং ২০০৫ কুমিল্লা জেলা জাসাস এর যুগ্ম আহবায়ক হন তিনি। ২০০৫ কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপি সদস্য এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি যুব বিষয়ক সম্পাদক এবং ২০০৯ সালে পুনরায় কুমিল্লা জেলা জাসাস এর যুগ্ম আহবায়ক হয়ে উক্ত পদে আছেন। অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর আলম স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় ওনার সুন্দর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নস্যাৎ করতে অনেকবার মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবুও তিনি মিথ্যার কাছে পরাজয় স্বীকার করেননি। ওনার ভাষ্যমতে বিগত স্বৈরাচারীনী হাসিনার শাসনামলে সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হলেও কোন বিচার হতো না। অথচ কোন অপরাধ না করেও কাঁশই যুবলীগ সন্ত্রাসী হিটু হত্যা মামলায় কতগুলো নিরিহ মানুষ সহ আমাকে মিথ্যা ভাবে আসামী করায়, ৭ বছর তদন্ত, পূর্ণ-তদন্ত থানা, পিবিআই, সিআইডি, ডিবি এই ৪ টা চার্জসিটে নাম কাটাতে আমাকে অনেক হয়রানীর শিকার হতে হই, পাশাপাশি প্রচুর আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। সকল তথ্য উপাত্ত প্রমান করেছে এই হত্যায় আমি জড়িত ছিলাম না? শুধু বিএনপি করি এটাই ছিলো আমাকে মামলায় জড়ানোর উছিলা। বিএনপি করার অপরাধে কাঁশই গ্রামে কোন পুরুষ ঘরে ঘুমাতে পারে নাই, কত রাত কেটেছে পথে প্রান্তরে। সে খবর কয় জন নিয়েছেন । তিনি আরও বলেন নিজের সহ অন্যনদের জামিন করানো মামলার খোঁজ খবর নিতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়াও মনোহরগঞ্জ উপজেলার সামনে আমার জায়গা অধিগ্রহণ করেছে মুক্তিযোদ্ধ ভবন নির্মাণ করার জন্য, রীট পিটিশন করে হাইকোর্ট এর বারান্দায় পড়ে থেকেছি। হাসনাবাদ আমার জায়গা দখল করে রেখেছে আওয়ামী সন্ত্রাসী, সহানুভূতি দেখাতে কয়জন এসেছিলেন ? আমি যেহেতু চাকুরী করি সেহেতু অফিস টাইমে সময় দিতে পারিনি। কিন্তু এইটুকু বলতে পারবো যে কোন মানুষ সমস্যায় পড়ে আমাকে ফোন করলে চেষ্টা করেছি সাথে সাথে তার সমস্যার সমাধান করে দিতে। এমন অসংখ্য জটিল কাজ করে দিয়েছি দলের মানুষের। নিজের কিছু পাওয়া কিংবা পরিবারের কারো উপকারের জন্য কিছু ভাবিনি। অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন জনাব কোকোর জমানায় কুমিল্লা কেউ বের হতে পারেনি হাসিনার কার্ফিউর কারনে, জীবন বাজি রেখে কয়েক জনের মধ্যে আমিও ছিলাম সেদিন। জেলার প্রতিটি প্রোগ্রামে ছিলাম, মৃত্যুর ভয় করিনি, জননেতা তারেক রহমান এর ডাকে বিভাগীয় সমাবেশে মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম থেকে যারা কুমিল্লা এসেছেন, তাদেরকে সাধ্যমতো আমার বাসায় চেষ্টা করেছি রাখতে ।
বিএনপি’র শাসনামলে
কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম ভাইয়ের মাধ্যমে যারা চাকুরী পেয়েছে, কারো ১০টাকা খরচ লাগে নাই? মানুষকে সেবা দিতে হবে এটা শিখেছি কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম ভাইয়ের আদর্শ থেকে, উনি অন্যায় শিখতে দেইনি কাউকে।একটা কথা মনে রাখবেন যারা নিজেকে বিশাল কিছু ভাবতেছেন, আপনারা ভুল করছেন, কারণ আন্দোলন করেছে আমাদের সন্তান-ছাত্ররা, আর এই আন্দোলনে স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। কিন্তু অতি উৎসাহী হবেন না! নিজেকে বিশাল ভেবে কারো ক্ষতি করবেন না বরং ধৈর্য ধারণ করুন।
আমি জন্ম থেকে বিএনপি আদর্শে মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি, কোন ব্যক্তির জন্য রাজনীতি করি না, আমার পদমর্যাদা অনুযায়ী বিএনপি সরকারের সুবিধা দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। সবাই চেষ্টা করুন মাঠে নেমে দলীয় ভাবে সততার সঙ্গে দেশের উন্নয়নে মানুষকে সুবিধা দিতে এগিয়ে আসুন, এটা হবে অনেক বড় আনন্দের।